উত্তর - আশাপূর্ণাদেবীর রচিত 'ইজ্জত' গল্পে বাসন্তীর মেয়ে জয়ীর চরিত্রের আলোচনা করা হয়েছে। বাসন্তীর মেয়ে জয়ী তার বাবার মতো হয়েছে অপরূপ সুন্দরী। মেয়েটিকে দেখে লোকে অনেক বিরূপ কথা ব্যক্ত করেন। আলোচ্য গল্পে জয়ীর ইজ্জত রক্ষার কথাই বলা হয়েছে।

জয়ী অপরূপ সুন্দরী তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সুমিত্রার কাছে যখন মেয়েটিকে রাখতে যায় তখন সুমিত্রা জয়ীর সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারে শুধু রূপসীই নয়, ভদ্র ও নম্র প্রকৃতি। অর্থাৎ মেয়েটি রূপসীই নয়, মুখের চেহারায় বেশ একটা ভদ্র মার্জিত শ্রী। কিন্তু সুমিত্রার স্বামী মহীতোষের জন্য জয়ীকে আশ্রয় দিতে রাজি হয়নি। বাসন্তী আবার তার মনিবের বাড়িতেও তাকে রাখার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু তারাও তাকে রাখেনি। বাসন্তীর কাল হয়ে দাঁড়ায় তার রূপসী সুন্দর মেয়ে। তাছাড়া বস্তি এলাকায় থাকায় আরও দুশ্চিন্তার কারণ হয়। আবার জয়ীর অপরূপতা দেখে কেউ বলে – “বাবুদের মেয়ে চুরি করে নে এসেছিস।” বাইরে বেরানো মাত্রই নানা ইঙ্গিত জয়ীকে শুনতে হয়। যেমন - কলে জল আনতে যাওয়ার সময় বস্তির ছেলেরা তাকে দেখে শিস্ দেয়, গান করে, ইচ্ছে করে তার গায়ে ধাক্কা দেয়। এইভাবে তার ওপর নানা অত্যাচার চালায়। এসব কারণে বাসন্তী তার মেয়েকে নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু শিক্ষিত সমাজের কেউই তার মেয়ের ইজ্জত রক্ষার দায়িত্ব নেয়নি। মেয়েটির অসহায় অবস্থা দেখে সুমিত্রা কেঁদে ওঠে ও তাকে রক্ষা করতে না পারায় ব্যর্থতা বোধ করে। সুমিত্রার স্বামী মহীতোষের জন্য বাসন্তীর মেয়েকে আশ্রয় দিতে পারেনি। মহীতোষের মন্তব্য বস্তিবাসীরা ছোটোলোক তারা নিম্নবিত্ত, তাই তারা যেকোনো সময়ে বিপদে ফেলতে